চিত্রা নদীর তীরে এক প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ১.৬২ একর জমির উপর ১০ কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা, ৩ কক্ষের পাকা ভবন (২ টি) ও ৬ কক্ষ বিশিষ্ঠ দ্বিতল পাকা ভবন  (ভোকেশনাল)  নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯৫৪ সালে এই এলাকার মাধ্যমিক শিক্ষা সমস্যার সমাধান কল্পে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পুর্বে ১৮৮৬ সালে এখানে রাজশাহীর দীঘপতিয়ার রাজকুমার বাহাদুরের প্রচেষ্টায় একটি (এম, ই,) মধ্য ইংরেজী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এর কলবর বৃদ্ধি পায় নাই। ১৯৫৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও অল্প সময়ের মধ্যে ১৯৫৫ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। 
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা ও এর উন্নয়নের ক্ষেত্রে যাদের অবদান বিশেষ স্মরনীয় তাঁরা হলেন, প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আমজাদ আলী, আঃ হামিদ খান, খন্দকার আকমল হোসেন, আঃ জলিল বিশ্বাস, মোঃ ইসমাইল মোল্যা, ডাঃ হেমচন্দ্রনাথ সরকার, বাবু নিরোধকৃষ্ণ সরকার, বাবু রাখাল চন্দ্র ঘোষ, মোঃ আফিল উদ্দীন মোল্যা, মুন্সী আঃ রশিদ, ডাঃ মনরঞ্জন কুন্ডু, ডাঃ অতুল চন্দ্র সরকার, মোঃ শফিউদ্দীন শিকদার, মোঃ রেহেন উদ্দীন লস্কর, বাবু শিব প্রসাদ চক্রবর্তী, মাধব চন্দ্র ঘোষ। সৈয়দ আমজাদ আলীর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি স্বরূপ তারই নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় “আমজাদ আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়”। বিদ্যালয়টির প্রথম প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাবুদ্দীন। বিদ্যালয়টি এই এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য বিদ্যাপীঠ।