প্রধান ফটক


শালিখা উপজেলার পূর্ব প্রান্তে গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে ৪.৯০ একর জমির উপর ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ও আধাপাকা মোট ৫টি গৃহ নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। পশ্চিম দিকে চিত্রা নদীর কলতান ও পূর্ব দিকে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠ বিদ্যালয়টির পরিবেশকে মহিমান্বিত করে তুলেছে। ব্রিটিশ শাসনামলে শালিখা থানায় মাত্র একটি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় ছিল এবং পুলুম গ্রামে ছিল একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়। খোন্দকার আবদুল মোতালেবের প্রচেষ্টায় ১৯৪৮ সালে পুলুম বিহারী লাল মধ্য ইংরেজী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে প্রখ্যাত ব্যবসায়ী মরহুম কাজী আজাহারুল হক বিদ্যালয়টির উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অর্থ সাহায্য করায় বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে তাঁর পিতা কাজী গোলাম সরোয়ারের নামে নামকরণ করা হয়। “পুলুম গোলাম সরোয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়” মধ্য ইংরেজী বিদ্যালয়টিকে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয় এবং ১৯৫৭ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। বিদ্যালয়টিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন। বিদ্যালয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক শেখ শামছুর রহমান, মোঃ আবদুস সালাম শিকদার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। বিদ্যালয়টি এই এলাকার এক প্রাচীনতম আদর্শ বিদ্যোপীঠ।
  
 মূল ভবন

খেলার মাঠ

বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা খোন্দকার আব্দুল মোতালেব একজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের জরুরী কাজ সম্পাদনের জন্য তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যশোর জিলা শিক্ষা অফিসে যান এবং ২৯ শে জুন তারিখে তিনি নিখোঁজ হন। অনুমান করা হয়ে থাকে তিনি পাক সেনা কর্তৃক নিহত হন।