প্রধান ফটক
১৯৩৮-৩৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এক চমৎকার মনলোভা পরিবেশে কলেজটি অবস্থিত। ৮ একর ৭০ শতক জমির উপর অবস্থিত কলেজটিতে একটি ৪ তলা ভবন, দুটি ২তলা ভবন, তিনটি ছাত্রাবাস, একটি ছাত্রদের কমনরুম রয়েছে, দুইটি ছাত্রীদের কমনরুম, সেমিপাকা মসজিদ ও ১টা পুকুর আছে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjmcM0w_RkniU9rd9d_S9sPtY51Om3GIz97nqb32Mvp-dwvDrH5OMrVqcISBGHSPr5VDTwmO94_K1Vs3Sqp04lxfNfUBfSa0TImrUWn86GVthyUlUEG60L4IrL1vHnohQN2lQHvDAY4Sr0/s1600/College+Campus.jpg)
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মৌঃ মোঃ মোখলেছুর রহমান নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি শিক্ষা জীবন শেষ করে স্থানীয়ভাবে মাগুরায় বসবাস শুরু করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাকল্পে তাঁর অবদান অবস্মরণীয়। তিনি সুদীর্ঘ ৩৯ বৎসর নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে এই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ ইং সালের ৩রা ফেব্রুয়ারী তিনি পরলোক গমন করেন।
শহীদ মিনার
কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর বিশেষ সহযোগী ছিলেন মরহুম সিরাজুল ইসলাম, মরহুম এ্যাডভোকেট মোঃ হাবিবুর রহমান, ডাঃ আইনুল আক্তার, মুন্সেফ হান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ইবাদত হোসেন, রায় বাহাদুর রনদা প্রসাদ সাহা এবং তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এস, এ, হক সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের ডেপুটি স্পীকার মসিউল আজম খাঁন ও সাবেক পূর্ত মন্ত্রী মোঃ সোহরাব হোসেন।
১৯৪০ সালে ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজের সঙ্গে সাধারণ আই, এ কোর্স চালু করা হয়। এ ব্যাপারে দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার অর্থানুকুল্য ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে। দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার ইচ্ছা ক্রমে অবিভক্ত বাংলার এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নামে কলেজটির নামাঙ্কিত হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ”। কলেজটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ একই পরিচালনা পরিষদ ও একই অধ্যক্ষের পরিচালনায় ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও সাধারণ কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। কিন্তু পঞ্চাশের দশকে সরকারী শিক্ষা নীতি অনুযায়ী ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজের কোর্সটির বিলুপ্ত সাধিত হয়।
যে সমস্ত মহান শিক্ষাবিদগণ মৌঃ মোঃ মোখলেছুর রহমানের অনুপ্রেরণায় শুধুমাত্র সম্মানি ভাতা নিয়ে কলেজের মহান শিক্ষাদানে আত্ম নিয়োগ করেন এবং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন তন্মধ্যে শ্রী নরেশ চন্দ্র গাঙ্গুলী, হরি মোহন গাঙ্গুলী, সিরাজুল ইসলাম, মোঃ আবদুল মতিন, মওলানা সামছুল হক প্রমুখ। ১৯৪১ সালে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ হিসাবে প্রথম অনুমোদন লাভ করে। ১৯৫৬ সালে কলেজটি ডিগ্রী পর্যায়ে উন্নীত হয়ে ১৯৬২ সালে পূর্নাঙ্গ ডিগ্রী কলেজের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৭৯ সালের মে মাসে কলেজটিকে সরকারী করণ করা হয়।
অসংখ্য কৃতী ছাত্র/ছাত্রীর জনক এই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজটি বাংলাদেশের একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।