পৃথিবীর পরিবেশ মানুষের জন্য যতই অবান্ধব হয়ে উঠছে, মানুষ ততই তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন হচ্ছে। গাড়ির ধোঁয়া, খাবারে ভেজাল, ফলমূলে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ, অতিরিক্ত ভোজন বিলাস – সবকিছু মিলিয়ে এমন একটা পরিবেশের সৃস্টি হয়েছে যে স্বাভাবিক ভাবে স্বূস্থ্য থাকাই দায়। চেনা রোগের পাশাপাশি অজানা অনেক রোগের প্রাদুর্ভাবও ঘটছে। চিকিতসা করেও সারানো যায় না এমন রোগ যেমন ক্যান্সার, বহুমূত্র রুগীর সংখ্যা সমাজে অনেক বেড়ে গেছে।



কিন্তু, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে এইসব রোগ থেকে দূরে থাকতে চাননা। সচেতন মানুষ মাত্রেই সূস্থ্য থাকতে চান। এবং এই সচেতন মানুষের জন্যেই আমেরিকার ফরএভার লিভিং কোম্পানি তাদের খাদ্যে সহায়তাকারী এবং সৌন্দর্যবর্ধনকারী কিছু সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে এসেছে। সামগ্রীগুলো তৈরী হয়েছে অ্যালোভেরা এবং মধু থেকে। ফরএভার’এর তিনশোর’ও বেশি সামগ্রীর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার আপাততঃ ৩২টি বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছেন। আরো কিছু সামগ্রী কয়েক মাসের মধ্যেই অনুমতি পাবে। সামগ্রীগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যালোভেরা পানিয়, খাদ্যে সহায়ক ট্যবলেট ও ক্যাপসুল এবং বিভিন্ন ধরনের লোশন।

স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যে অ্যালোভেরার ব্যবহার আজকের নয়। প্রাচীন কালেও রানী ক্লিওপেট্রা, সম্রাট আলেকজান্ডার, বাদশাহ সোলায়মান, নেপোলিয়ন এবং ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মত বিখ্যাত মানুষেরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতেন। ইদানিং কালের বড় উদাহরন মহাত্মা গান্ধী।

অ্যালোভেরা ক্যাক্টাসের মত দেখতে হলেও, ক্যাক্টাস নয়। এটা একটা লিলি পরিবারের উদ্ভিদ যেমন পেঁয়াজ ও রসুন। পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ রকমের অ্যালোভেরা জন্মে, তবে মাত্র দু’রকমের অ্যালো বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়। সারা বিশ্বে উতপাদিত আশি ভাগ অ্যালো উতপাদন করে ফরএভার কোম্পানি তাদের ৫,০০০ একর জমিতে। এই চাষে কোনোরকম রাসায়নিক সার ব্যাবহার করা হয় না।

অ্যালোভেরা জেল মানুষের শরীরের ভেতরের যাবতীয় আবর্যনা পরিষ্কার করে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পরিশোধিত করে, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। মানুষের শরীরে সমস্যা শুরুই হয় হজমের সমস্যা থেকে। ফরএভার’এর ” অ্যালোভেরা জেল” যে কোনো হজমের সমস্যা দূর করতে সক্ষম। “ফরএভার ফ্রিডম” দৈনিক পান করে অনেক আর্থারাইটিস ও পক্ষপাতগ্রস্থ রুগী নিজেদের সুস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন। “ফরএভার টুথজেল” যারা ব্যবহার করেছেন তারা তাদের দাঁতের সমস্যায় অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। অ্যালোভেরার আশ্চর্য ঔষধি গুন রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করেছে; রক্তচাপও কমিয়ে আনছে। ” অ্যালোভেরা জেলী” ব্যবহারকারীদের তাদের যে কোনো চর্মরোগ, মেছতা, ব্রন দূর করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, মধুর তৈরী “বী পোলেন” ক্লান্তি ও অ্যালার্জি দূর করে এবং “বী প্রোপোলিস” ট্যাবলেট একটি শক্তিশালী প্রাকৃ্তিক এ্যান্টি-বায়োটিক যা খেলে শুধু “খারাপ ব্যাক্টেরিয়া” ধ্বংস হয়, এবং “ভালো ব্যাক্টেরিয়া” বেঁচে থাকে। এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশে “রয়াল জেলী” পাওয়া যাচ্ছে। রয়াল জেলী্কে বলা হয় “সুপার ফুড” যার মধ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজন সবগুলো ভিটামিন আছে।

মধুর গুনের কথা অল্প-বিস্তর সবাই জানেন। বলা হয়ে থাকে মধু ৯৯টি অসুখ ভাল করতে পারে। রসুলুল্লাহ (আঃ) নিজে মধু খেতেন এবং তার উম্মতদেরও তা খাওয়ার উপদেশ দিয়ে গেছেন। মধুর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সবচেয়ে বড় যে কাজটি মধু করে তা হল মানুষের শরীরকে সুরক্ষা করে।

ফরএভার কোম্পানি শুধুই এই সামগ্রীগুলো বাজারজাত করতেই বাংলাদেশে আসেনি, তারা সব বাংলাদেশীদের তার সাথে ব্যবাসা করারও একটা সুযোগ দিচ্ছে। এই কোম্পানির সাথে ব্যবসা করে বিশ্বের ১৪৬টি দেশে প্রায় এক কোটি মানুষ আর্থিক ভাবে অনেক উপকৃ্ত হয়েছে। এই ব্যবাসা সম্পর্কে আরো জানা যাবে  www.foreverliving.com থেকে।