১. পদার্থ কী?
-যার ওজন আছে, স্থান দখল করে এবং বল প্রয়োগ করলে প্রতিরোধ করে বা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে তাকে পদার্থ বলে।


২. বিজ্ঞান কী?
-পার্থিব জগৎ সুসংবদ্ধ ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ মঙ্গলকর জ্ঞানকেই বিজ্ঞান বলে।


৩. সূযর্গ্রহণ সম্পর্কিত বাণীর জন্য কে বিখ্যাত ছিলেন?
- সূযর্গ্রহণ সম্পর্কিত বাণীর জন্য বিখ্যাত ছিলেন প্রাচীন গ্রীস ও রোম সম্রাজ্যের বিজ্ঞানী থেলিস। তিনিই প্রথম ধারণা দেন বৃত্তের ব্যাস বৃত্তকে সমদ্বিখন্ডিত করে।


৪. ‘এস আই একক’ কী?
- এস আই একক বলতে International System of Unit কে বুঝায়।


৫. মৌলিক একক কী?
- যেসব রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ, যেগুলো অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক একক বলে।


৬. ভার্নিয়ার ধ্রুবক কী?
- প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম একভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলের একভাগ যতটুকু ছোট তার পরিমাণকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলে।


৭. দ্রুতি ও বেগ কী?
- সময়ের সাথে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের হারকে দ্রুতি বলে। দ্রুতির একক মিটার/ সেকেন্ড। এটি স্কেলার রাশি।
বস্তু নির্দিষ্ট দিকে একক সময়ে যে পথ অতিক্রম করে তাই বেগ। বেগের একক মি/সে. এটি ভেক্টর রাশি।


৮. ত্বরণ কী?
- সময়ের সাথে বস্তুর অসম বেগ এর পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। ত্বরনের একক মি./সে২।


৯. স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশি কী?
- স্কেলার রাশি: যেসব প্রাকৃতিক রাশির শুধু মান আছে কিন্তু দিক নেই যেমন- দৈর্ঘ্য, ভর, দ্রুতি, কাজ, শক্তি ইত্যাদি।
- ভেক্টর রাশি: যেসব প্রাকৃতিক রাশির মান ও দিক দুইই আছে তাদেরকে দিক রাশি বা ভেক্টর রাশি বলে। যেমন- সরণ, ত্বরণ, বেগ, বল ইত্যাদি।

১০. নিউটনের গতিসূত্রগুলি কী কী?
প্রথম সূত্র: বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে অর্থাৎ বস্তুর উপর বলের লব্ধি শূন্য হলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরল পথে চলতে থাকবে।
দ্বিতীয় সূত্র: বস্তুর ভর-বেগের পরিবর্তনের হার উহার উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সে দিকে ঘটে।
তৃতীয় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান এবং বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া রয়েছে। উদাহরণ- নৌকা থেকে লাফ দেয়া, বন্দুকের পশ্চাৎ গতি, রকেট চালনা।

১১. জড়তা কী?
- পদার্থ যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা ধর্ম তাকে জড়তা বলে। স্থিতিশীল থাকার প্রবণতা হল স্থিতিজড়তা এবং গতিশীল থাকার প্রবণতা হলো গতি জড়তা।

১২. একই আকৃতির একক কাচ অপেক্ষা একক হীরক বেশি উজ্জ্বল কেন?
- কাচের প্রতিসরাংক ১.৫ ও হীরকের প্রতিসরাংক ২.৪ ধরে দেখা যায় যে, বায়ুর সাপেক্ষে কাচের ও হীরকের সঙ্কট কোণ ৪২০ ও ২৪০। ক্ষুদ্র সংকট কোণের জন্য হীরকের মধ্যে আপতিত আলোকরশ্মির বার বার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে। ফলে হীরক খুব উজ্জ্বল দেখায়। কাচের ক্রান্তি কোণের মান অনেক বড় হওয়ায় কাচের মধ্যে সহজে পূর্ন অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে না। দু’একটি পৃষ্ঠে পূর্ন অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের পর আলোকরশ্মি কাচ থেকে বেরিয়ে আসে। তাই হীরকের মত কাচ উজ্জ্বল দেখায় না।

১৩. গামা রশ্মি কি?
- বর্ণালীতে ১০-১১ মিটারের চেয়ে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে সকল বিকিরণই গামা রশ্মি। অর্থাৎ সবচেয়ে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে বিকিরণ হচ্ছে গামা রশ্মি। পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে যে তেজস্ক্রিয় রশ্মি উৎপন্ন হয় তার অধিকাংশই গামা রশ্মি। প্রাণীদেহের জন্য এ রশ্মি ক্ষতিকারক। এ রশ্মির শক্তি দৃশ্যমান আলোর চেয়ে ৫০,০০০ গুণ বেশি।


১৪. নীল কাচের মধ্য দিয়ে হলুদ ফুল কালো দেখায় কেন?
- সূর্য়ের সাদা আলোর হলুদ ফুলের উপর দিয়ে পতিত হলে হলুদ ফুল হলুদ বর্ণ ব্যতীত অন্য সকল বর্ণ শোষণ করে এবং হলুদ বর্ণ প্রতিফলিত করে। এখন নীল কাচের মধ্য দিয়ে হলুদ বর্ণের আলোক শোষিত হয়। ফলে কোনো বর্ণ প্রতিফলিত হয় না। তাই নীল কাচের মধ্য দিয়ে হলুদ ফুল কালো দেখায়।


১৫. লাল কাপড়কে আমরা লাল দেখি কেন?
- লাল কাপড়ে যখন আলো পড়ে, তখন এটি লাল ব্যতীত অন্য সকল আলো শোষণ করে এবং লাল বর্ণ প্রতিফলিত করে। এই প্রতিফলিত বর্ণ আমাদের চোখে পড়লে আমরা লাল কাপড়কে লাল দেখি।