সিএটি বা এসিসিতে ভর্তি হওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত প্রতিষ্ঠানটি এসিসিএ
বাংলাদেশ অনুমোদিত কি না। সিএটি বা এসিসিতে ভর্তি হওয়ার আগে জেনে নেওয়া
উচিত প্রতিষ্ঠানটি এসিসিএ বাংলাদেশ অনুমোদিত কি না।
ব্যবসায়
শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রিতে অন্যতম এক নাম দি অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড
সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এসিসিএ)। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই রয়েছে
হিসাববিজ্ঞানের এই উচ্চতর ডিগ্রি। ১৯০৪ সালে ইংল্যান্ডে এটি শুরু হলেও
বাংলাদেশে এসিসিএর কার্যক্রম শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে। হিসাববিজ্ঞানে এই
ডিগ্রির রয়েছে যথেষ্ট চাহিদা। সারা বিশ্বে এর সমাদর থাকায় এসিসিএ সম্পন্ন
করে কর্মজীবনে সফল হওয়ার সুযোগও বাড়ছে।
এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি
ম্যানেজার মহুয়া রশীদ জানান, বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় এটি পড়া ও পরীক্ষা
দেওয়া যায়। সুতরাং একে একটি গ্লোবাল ডিগ্রিও বলা চলে। বাংলাদেশে রয়েছে এর
স্থানীয় অফিস ‘এসিসিএ বাংলাদেশ’।
যেসব ডিগ্রি পাওয়া যায়
এসিসিএ
থেকে বর্তমানে তিনটি ডিগ্রি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে সার্টিফায়েড
অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান (সিএটি), যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী একজন দক্ষ
হিসাবরক্ষক হয়ে উঠতে পারেন। সিএটি মোট নয়টি বিষয়ে পড়তে হয়। সিএটির পরের ধাপ
বা ডিগ্রি হলো এসিসিএ, যার মাধ্যমে প্রায়োগিক দক্ষতার পাশাপাশি গড়ে উঠবে
নৈতিক গুণাবলিও। সিএটি শেষ করে কেউ যদি এসিসিএ করতে চান, তাহলে প্রথম তিনটি
বিষয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসিসিএর সদস্য হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে
মোট ১৪টি বিষয়ে পাস করতে হয়। সেই সঙ্গে তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন
করতে হয়। নিতে পারেন নতুন ডিগ্রি ফাউন্ডেশন ইন অ্যাকাউন্টস।
এ ছাড়া
এসিসিএর শিক্ষার্থীরা ইংল্যান্ডের ব্রুকস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত
হিসাবরক্ষণের ওপর নিতে পারেন স্নাতক ডিগ্রি। এরপর এমবিএও করতে পারবেন।
পরীক্ষা যেমন
এসিসিএ
সারা বিশ্বে ৮০টি স্থানীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশি এসিসিএ শিক্ষার্থীরাও এই নির্দেশনা পেয়ে থাকেন এসিসিএ বাংলাদেশের
মাধ্যমে। আপনি চাইলে দেশ-বিদেশে দুই জায়গার যেকোনো স্থানে পড়তে পারেন। তবে
যেখানেই পড়েন না কেন, এর প্রশ্ন বা পরীক্ষা সবই হয়ে থাকে ইংল্যান্ডের
এসিসিএর তত্ত্বাবধানে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল এর পরীক্ষা নিয়ে থাকে।
এখানে বছরের যেকোনো সময়ে সিএটির প্রথম চারটি ও এসিসিএর প্রথম তিনটি বিষয়ে
পরীক্ষা দেওয়া যাবে। যে দেশেই পরীক্ষা দেন না কেন, তা সমান মান বহন করবে।
ভর্তির যোগ্যতা
এসিসিএ
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী উপদেষ্টা এম এ জাকী তূর্যমান বলেন, ‘যাঁরা ও-এ
লেভেল বা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁরা সরাসরি এসিসিএ কোর্সে ভর্তি
হতে পারেন। আর সিএটি পড়তে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস হলেই চলবে। তবে
এসিসিএর জন্য সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর এবং সিএটির জন্য ১৬ বছর হতে হবে। যাঁরা
হিসাববিজ্ঞান বা ফিন্যান্স বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করেছেন,
তাঁদের চারটি বিষয়ে কম পড়তে হয়।
ব্যয়
জাকী তূর্যমান জানান,
দেশে ভর্তি হতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া ভর্তির পর নিবন্ধন ফি
সিএটির জন্য ৭২ পাউন্ড আর এসিসিএর জন্যও ৭২ পাউন্ড। বার্ষিক ফি সিএটি ৭২
পাউন্ড, এসিসিএতে ৭২ পাউন্ড। পরীক্ষা ফি প্রথম তিনটি বিষয়ে ১৫০ পাউন্ড, এ
ছাড়া পরের ছয়টি বিষয়ের জন্য ৩৬০ এবং সর্বশেষ পাঁচটির জন্য ৩৫০ পাউন্ড। এ
ছাড়া সিএটির প্রথম চারটির জন্য প্রতি বিষয়ে ফি ৪০ পাউন্ড এবং পরের পাঁচ
বিষয়ের প্রতিটি ৪৯ পাউন্ড করে। সব মিলিয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা।
ভর্তি কখন, কোথায়
এখানে
সাধারণত সারা বছরই ভর্তি হওয়া যায়। তবে ডিসেম্বরে পরীক্ষা দিতে চাইলে
ভর্তি হতে হবে ১৫ আগস্টের মধ্যে। আর জুনে পরীক্ষা দিতে চাইলে ভর্তি ৩১
ডিসেম্বরের মধ্যে। এসিসিএ বাংলাদেশ অফিস: গুলশান ভবন, চতুর্থ তলা, বীর
উত্তম এ কে খন্দকার সড়ক, ৩৫৫ মহাখালী, গুলশান, ঢাকা। এখানে ছাড়াও ভর্তি
হওয়া যাবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। সব ধরনের তথ্য পেতে লগ অন করতে
পারেন www.accaglobal.com-এ।
প্রস্তুতি নিজে নিজে
আপনি চাইলে
নিজে নিজেও পড়াশোনা করতে পারেন। প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিল বা এসিসিএ অফিসে
ভর্তি হতে হবে। এখানে প্রয়োজনীয় ফি ও কাগজপত্র জমা দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে
প্রয়োজনীয় বইপত্র। বিগত বছরের প্রশ্ন ও পাঠ্যক্রম সংগ্রহ করতে পারেন
এসিসিএর ওয়েবসাইট থেকে। আর তারপর নিজেই একটা পাঠ-পরিকল্পনা তৈরি করে পড়া ও
পরীক্ষা দেওয়া যায়।
এবং সিএটি
সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্টিং
টেকনিশিয়ানকে সংক্ষেপে সিএটি বলা হয়। সিএটির মোট চারটি ধাপ রয়েছে। কেউ
চাইলে সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করতে পারেন। অথবা একটি কোর্স শেষ করেও পাওয়া যাবে
সিএটির একটি ধাপের সনদ। প্রতি ধাপে সময় লাগবে চার মাসের মতো।
জাকী
তূর্যমান আরও বলেন, ‘সিএটিতে ভর্তি হতে চাইলে এইচএসসি অথবা ইংরেজি মাধ্যম
থেকে ও লেভেল পাস করতে হবে। ভর্তির পরে আগ্রহীরা চাইলে বাসায় বসেও
প্রস্তুতি নিতে পারেন। এ জন্য এসিসিএর গ্লোবাল ওয়েবসাইটে গিয়ে সিলেবাস এবং
বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে সব ধারণা পেতে পারেন। সিএটির বই কিনতে চাইলে যেতে
পারেন পান্থপথে আমাদের অনুমোদিত বিপিপি, কাপলান অথবা জিটিজি পাবলিকেশনে।
সিএটির চারটি কোর্সই শেষ করতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই বছর। আর প্রতি কোর্সে
খরচ পড়বে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি কোনো কলেজের অধীনে
সিএটি বা এসিসিতে ভর্তি হতে চান, তবে জেনে নেওয়া উচিত প্রতিষ্ঠানটি এসিসিএ
বাংলাদেশ অনুমোদিত কি না।
Mar 1, 2013
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সর্বাধিক পঠিত
বিভাগসমূহ
সংরক্ষণাগার
আমাদের কথা
Welcome to Bunagati 24.Com ।
Bunagati 24.com এর উদ্দেশ্য হল তথ্য ও প্রযুক্তি-কে সকলের নিকট সহজবোধ্য করা। পাশাপাশি অত্র এলাকাকে ইন্টারনেট জগতে আলোকিত করা।
এই সাইটটি আমাদের সকলের। তাই এটিকে আরও তথ্য সমৃদ্ধ দেখতে সকলের সহযোগিতা আবশ্যক।
অরাজনৈতিক ও রুচিসম্মত পোষ্ট সর্বদাই স্বাগত। এই সাইটটি এখন পরীক্ষামূলক ভাবে চলছে। সাইটটি পরিপূর্ণ করতে আপনাদেরমতামত ও পরামর্শ আবশ্যক।
bunagati@gmail.com
bunagati@yahoo.com
ধন্যবাদ
0 comments:
Post a Comment