মাইক্রোসফট এক্সেল হচ্ছে একটি স্প্রেডশীড সফটওয়্যার। স্প্রেডশীড বা ওয়ার্কশীট হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সেল  এর প্রধান অংশ। কম্পিউটারে এক্সেল প্রোগ্রাম টি চালু হলে যে স্ক্রীনটি পাওয়া যায় তাই স্প্রেডশীড বা ওয়ার্কশীট। এ স্প্রেডশীড বা ওয়ার্কশীট এ  ১৬,৬৮৪ টা কলাম,  ১০,৪৮,৫৭৬ টা রো এবং ১৭৪৯,৪৪,৪১,৯৮৪ টি সেল রয়েছে।



কলাম:  A,B,C.... এগুলো হচ্ছে কলাম।
রো : 1,2,3........ এগুলো হচ্ছে রো।
সেল: ছোট ছোট আয়তাকার ঘর গুলো হচ্ছে সেল।
সেল এড্রেস: একটি সেল কোন কলাম এবং কোন রো তে আছে তার অবস্থান কে সেল এড্রেস বলে।

স্প্রেডশীড এর কাজ ও প্রয়োজনীয়তা

  1. সকল প্রকার ব্যবসা বানিজ্যের হিসাব - নিকাশের যাবতীয় কার্যাবলী এক্সেলের মাধ্যমে করা যায়।
  2.  সকল প্রকরা হিসাবের তথ্যাবলী সরক্ষণ, সম্পাদন, মান যাচাই করা যায়।
  3. ডাটাবেস কার্যাবলী সম্পাদন করা যায়।
  4. কোন তথ্য বা ডাটা উচ্চ বা নিম্নক্রম অনুসারে সাজানো যায়।
  5. মার্কশীট, সেলারীশীট, ক্যাশমেমো ইত্যাদি তৈরী করা যায়।
  6. বাৎসরিক বাজেট প্রনয়ন।
  7. আয়-ব্যয়ের হিসাব , উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।।।।

মাইক্রোসফট এক্সেলের ফর্মূলা বা সূত্র গুলো


যোগের সূত্র:
দুটি সংখ্যা পাশাপাশি থাকলে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে যোগ করা হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস + ২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
দুই বা ততোধিক সংখ্যা পাশাপাশি থাকলে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে যোগ করা হয়:-
গঠন: =Sum(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।



উদাহরন: দরুন আমরা 100 এবং 50 যোগ করব C1 সেলে , এজন্য আমাদেরকে সর্বপ্রথম C1 সেলে =(সমান) চিহৃ দিতে হবে । তারপর 100  এর সেল এড্রেস দিতে হবে, খেয়াল করে দেখুন 100  A কলামে এবং 1 নং রো তে রয়েছে এজন্য 100 এর সেল   এড্রেস হবে A1। ( কি এখন কি সেল এড্রেস বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছে  :-)   )

তারপর (+) সাইন দিয়ে 50 এর সেল এড্রেস দিয়ে এন্টার প্রেস করলে আমরা আমাদের ফলাফল পেয়ে যাব। অর্থাৎ সূত্র হবে =A1+B1   Press Enter.

বিয়োগের সূত্র:
দুটি সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ করতে হলে   নিম্নের সূত্রের সাহায্যে বিয়োগ করতে হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস - ২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।

গুনের সূত্র:
দুটি সংখ্যার মধ্যে গুন করতে হলে   নিম্নের সূত্রের সাহায্যে গুন করতে হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস * ২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।

ভাগের সূত্র:
দুটি সংখ্যার মধ্যে ভাগ  করতে হলে   নিম্নের সূত্রের সাহায্যে ভাগ  করতে হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস /২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।


পার্সেন্টিজ(%) বের করার সূত্র:
গঠন: =(যে সংখ্যার পার্সেন্টিজ বের করবেন ঐ সংখ্যা * যত পার্সেন্ট বের করবেন% ) তারপর এন্টার দিতে হবে।

উদাহরন: আমরা 5,000 এর 10% পাসেন্ট বের করব। তাহলে সূত্র হবে =5,০০০ এর সেল এড্রেস*10%



গড় বের করার সূত্র:
গঠন: =average(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।

উদাহরন: দরুন আমরা ১০, ২০, ৩০,৪০ ও ৫০ এই পাঁচটি সংখ্যার গড় বের করব, তাহলে সূত্র হবে:
=average(১০ এর সেল এড্রেস : ৫০ এর সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।



সর্বনিম্ন সংখ্যা বের করা সূত্র:
গঠন: =min(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।

সর্বোচ্চ সংখ্যা বের করা সূত্র:
গঠন: =max(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।

সংখ্যা গননা করার সূত্র:
গঠন: =Count(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।